সমগ্র বিশ্ব
বিশ্ব অর্থনীতিতে যোগ করবে ২৬ লাখ কোটি ডলার

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ‘সবুজ প্রবৃদ্ধি’ বিশ্বঅর্থনীতিতে যোগ করতে পারে ২৬ লাখ কোটি ডলার। বিভিন্ন দেশের সাবেক সরকার প্রধান, ব্যবাসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা এমন ধারণা পোষণ করে বলছেন, এধরনের প্রবৃদ্ধি সারাবিশ্বে ২০৩০ সালের মধ্যে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতির গতি বৃদ্ধির এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনে এধরনের মোকাবেলায় জীবাশ্ম জালানি থেকে নবায়নযোগ্য জালানিতে স্থানান্তর সহ বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ জরুরি হয়ে পড়েছে। ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন
দি গ্লোবাল কমিশন এন্ড ক্লাইমেট জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি সারাবিশ্ব কিভাবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্যে দি নিউ ক্লাইমেট ইকোনমি নামে একটি প্রকল্পে কলম্বিয়া, ইথোপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন ও ব্রিটেন কাজ করছে। বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে ‘সবুজ জালানি’, শহরায়ন, খাদ্য, জমি, পানি ও শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও নতুন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০৩০ সাল নাগাদ ৬৫ মিলিয়ন নতুন কর্মসংস্থান সম্ভব। বায়ু ও সৌর বিদ্যুত ব্যবহার করে দূষণ পরিহারের মাধ্যমে একই সময়ে ৭ লাখ অকাল মৃত্যু রোধ করা যাবে। জালানি খাতে সঠিক সংস্কার করে নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারের মাধ্যমে একই সময়ে বছরে ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলার আয় হবে। মেক্সিকোর সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিলিপ কালডেরন যিনি ওই কমিশনের চেয়ারম্যান, তিনি বলছেন, কিভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দূষণমুক্ত আবহাওয়ায় বিশ্ব পৌঁছাতে পারে তার জন্যে এধরনের প্রকল্প এক নতুন ইশতেহার।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর প্যারিস চুক্তি থেকে সরে এসে বলেন, এ চুক্তিতে শামিল হলে তার দেশে ২০২৫ সাল নাগাদ ২.৭ মিলিয়ন মানুষ বেকার হবে কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, জীবাশ্ম জালানি ব্যবহারে বরং তারচেয়ে বেশি মার্কিনী বেকার হবে। ঘনঘন বন্যা, জলোচ্ছাস, তাপদাহ ও দাবানল বরং অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই প্যারিস চুক্তিতে ২০৩০ সাল নাগাদ জলবায়ু দূষণ ৪০-৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে শিল্পখাতে জালানি ব্যবহারে বাস্তব উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়। নিউ ক্লাইমেট ইকোনমির প্রকল্প পরিচালক হেলেন মাউন্টফোর্ড বলেন, ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের সরকার জীবাশ্ম জালানিতে বছরে ৩৭৩ বিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দিয়ে আসছে যা নবায়নযোগ্য জালানি ব্যবহারের মাধ্যমে সাশ্রয় ঘটানো সম্ভব।