সমগ্র বিশ্ব
জার্মানিতে ‘মসজিদ কর’ নিয়ে বিতর্ক

গণতন্ত্রবিরোধী বা সংস্কারপন্থী দেশ থেকে পাওয়া বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজস্ব অর্থায়নের ব্যবস্থা গ্রহণে জার্মানিতে ‘মসজিদ কর’ এর প্রতি সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে বলে রোববার দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। হিন্দুস্তান, গার্ডিয়ান, এএফপি
দেশটির পার্লামেন্টে প্রশ্নোত্তর পর্বের বরাত দিয়ে জানানো হয়, রক্ষণশীল ফেডারেল সরকার এটিকে সম্ভাব্য উপায় বলে দেখছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের তত্ত্বাবধানে তার্কিশ ইসলামিক ইউনিয়ন অব দ্য ইন্সটিটিউট ফর রিলিজিয়ন (দিতিপ) জার্মানির ৯০০ মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে। মসজিদের ইমামদের বেতনও তুর্কি সরকার দিয়ে থাকে।
জার্মানিতে বসবাসরত তুরস্কের কিছু সন্দেহভাজন গুপ্তবৃত্তি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানি ও তুরস্কের মধ্যে এক বৈঠকে, জার্মানির দুইজন মন্ত্রী স্পাইজেল অনলাইন ভিত্তিক এক গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দেয় যে এরদোগানের বিপজ্জনক মতাদর্শ জার্মানির কোন মসজিদে গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা।
এই অবস্থার প্রেক্ষিতে, চরমপন্থি এবং জঙ্গি ইসলামিক ধারণা প্রচার বন্ধে দেশটির কিছু মসজিদে কার্যক্রম বন্ধ করে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে।
এক শীর্ষ দৈনিক পত্রিকার জরিপে দেখা যায়, দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের মসজিদ কমিটি মনে করে জার্মানির উচিত তাদের দেশের মসজিদগুলোতে নিজস্ব অর্থায়নের ব্যবস্থা করা।
তুরস্ক ও আরব দেশ থেকে আসা প্রায় পাঁচ কোটি মুসলিমের জন্য বরাদ্দকৃত বৈদেশিক সাহায্যের বিষয়ে জার্মানির উদ্বেগ বেড়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংস্কারবাদী ইসলামপন্থী ও গণতন্ত্রবিরোধীদের বৈদেশিক সাহায্য কমানোর আশায় খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উপাসনালয় চার্চের মতো মসজিদেরও ব্যয়ভারের দায়িত্ব নেবার কথা ভাবছে জার্মানি।