ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লাখনৌর রাম মনোহর লোহাই ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (আরএমএলআইএমএস) হাসপাতালে। যদিও সন্তান প্রসবের পর ওই মাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নিয়ে যান হাসপাতাল কর্মীরা। মা-সন্তান দুজনই সুস্থ আছেন।ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্ত করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে কমিটি গঠন করে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এনডিটিভি, জি নিউজ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
[৩] জানা গেছে, প্রসব ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ২২ বছর বয়সী পালাকা নামের এক নারী। কিন্তু কোভিডমুক্ত সার্টিফিকেট না দেখালে ভর্তি নেয়া হবে না বলে হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেয়া হয়। তাতে অনাগত সন্তানের কথা চিন্তা করে হাসপাতালের আরেক ইউনিটে কোভিড পরীক্ষা করাতে গিয়ে দেখেন সেখানে আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন বেশ কয়েক জন। তিনি নিজেও লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ওই তরুণী লাইনে ঠিকমতো দাঁড়াতেও পারছিলেন না এবং যখন তার জল ভাঙতে শুরু করে ওই তরুণী মাটিতে বসে পড়েন এবং সেখানেই ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
[৪] ওই নারীর স্বামী রানার দিক্ষিত একজন দিনমজুর। সোমবারের (০৬ জুলাই) ওই ঘটনার বিষয়ে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু গাইনী ওয়ার্ডের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা প্রটোকল রক্ষা না করলে রোগী ভর্তি করাবেন না বলে জানিয়ে দেন। এজন্য প্রথমে আমাকে স্ত্রীর কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বলা হয়। যার খরচ এক হাজার ৫শ রুপি। সঙ্গে অর্থ না থাকায় আমি এক আত্মীয়সহ স্ত্রীকে লাইনে রেখে টাকা আনতে যাই। ফিরে এসে শুনি আমার স্ত্রী একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েছে।
[৫] এদিকে হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর নুজহাত হুসাইন জানান, এই ঘটনার বিষয় অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গর্ভবতী নারীকে ভর্তি না নিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
