ইংল্যান্ড
ওল্ডহ্যাম স্কুলের ক্লাস রুমে নামাজ পড়তে না দেয়ায় ক্ষমা চাইলো স্কুল কর্তৃপক্ষ

ব্রিটেনের ওল্ডহ্যামের একটি স্কুলের কয়েকজন ছাত্র শুক্রবারের জুমআ’র নামাজ ক্লাসে পড়তে চাইলে তাদের ক্লাসের নারী শিক্ষক রাজী হন নি। এরপর বাধ্য হয়ে তারা ক্লাসের বাইরে ব্যাপক ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে। ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড হ্যাম একাডেমি নর্থ স্কুলে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর ব্রিটেন জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, বন্যার কারণে ক্লাস রুমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো নামাজ পড়ার উপযুক্ত ছিল না। এরপর এমন ঘটনার জন্য সমালোচনা বাড়তে থাকলে বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ৮ জন ছাত্র বাইরের ঠান্ডার মধ্যে নামাজ পড়ছে। আর পাশে দাড়িয়ে তাদের নামাজ পড়া পর্যবেক্ষন করছে স্কুলটির এক স্টাফ।
স্কুলটির এক ছাত্র দ্য ওল্ড হ্যাম টাইমসকে জানায়, স্কুলে নামাজ পড়ার জন্য আলাদা জায়গা না থাকায় গত শুক্রবার কয়েকজন ক্লাসে নামাজ আদায় করতে প্রস্তুত হয়। এমন সময় ক্লাসের শিক্ষক তাদেরকে রাগ দেখান এবং বাইরে বের করে দরজা লাগিয়ে দেন। এরপর তারা বাধ্য হয়ে ঠান্ডার মধ্যেই জুমআ’র নামাজ আদায় করে। দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ছাত্রদের জন্য নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করার কথা বলে আসছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।
এ ঘটনার পরে লোকাল মুসলিম নেতারা এমন ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।
ওল্ড হ্যাম মসজিদ কাউন্সিল ডেভেলপমেন্ট অফিসার মুফতি হেলাল মাহমুদ বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছে। আমরা তাদের ভুল বুঝতে পারাকে সাধুবাদ জানাই। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে ছাত্রদের জন্য স্কুলে নামাজের জায়গার ব্যবস্থা করবো।