সোনার বাংলাদেশ
কে হচ্ছেন নাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান?

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের একটি ইউনিয়ন নাজিরাবাদ। আর মাত্র তিনদিন বাকি এই ইউনিয়নের নির্বাচনের। নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে নাজিরাবাদ ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা নিয়মিত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী সরগমভাবে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাই শেষ সময়ে মাঠ ধরে রাখতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সবাই। প্রতিদিন গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবারের ইউপি নির্বাচনে এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. আশিকুর রহমান (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মাহমুদুর রহমান (আনারস), সৈয়দ মুহিত আলী (ঘোড়া), বিএনপি নেতা আশরাফ উদ্দিন আহমদ (চশমা), বিএনপি নেতা সৈয়দ এনামুল হক রাজা (মটরসাইকেল), মোহাম্মদ মোস্তাহিদ আলী (সিএনজি) ।
ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাজিরাবাদ ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ আর আনন্দ। মোট কথা- ইউপি নির্বাচন জমে উঠেছে।
নাজিরাবাদ ইউনিয়ন ছেয়ে গেছে টাঙানো পোস্টার আর ব্যানারে। দুপুর দুইটার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মাইকে প্রচার-প্রচারনা চলছে। সার্বক্ষণিক প্রার্থীরা সময় পার করছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ভোটারদের নিকট প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এবং নিজ প্রতীকে ভোট চাইছেন। এমনকি বসে নেই প্রার্থীদের আত্মীয়-স্বজন ও কর্মী সমর্থকরা।
নাজিরাবাদ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে কে হবেন সেই সৌভাগ্যবান চেয়ারম্যান সেটাই এখন আলোচিত হচ্ছে বিভিন্ন চায়ের দোকান, মোড় ও ছোট বাজারসহ সর্বত্র।
জয় পরাজয় থাকবেই, তবুও কেউ বসে থাকে না, সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন সবারই থাকে। তাই ইউনিয়নবাসীর মন জয় করতে রাত-দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী নাজিরাবাদ ইউনিয়নের সৈয়দ মুহিত আলীকে (ঘোড়া) মৌলভীবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের বহিষ্কার করেছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার শেষ সময় ছিল ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২৯ নভেম্বর এবং মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ৬ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ হবে ২৬ডিসেম্বর। নাজিরাবাদে ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার।