আমাদের কমিউনিটি
শিপলু ও ভুলুকে হত্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে :মানববন্ধন থেকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দাবি।

সিলেটে বহুল আলোচিত আরমান হত্যা মামলায় প্রকৃত আসামিদের রক্ষায় একটি মহল সক্রিয় ভাবে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ
উঠেছে।
জল্লারপাড় মসজিদ কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন খান শিপলু ও আনোয়ার বকস ভুলু মিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অনুষ্টিত মানববন্ধ থেকে বক্তারা এই দাবি করেন।
হাজাররো মানুষের উপস্থিতিতে বক্তারা আরো বলেন পরিকল্পিতভাবে সাখাওয়াত হোসেন খান শিপলু ও আনোয়ার হোসেন ভুলুকে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন শিপলু ও ভুলু অত্যবাহী পরিবারের সন্তান এবং সর্বজন শ্রদ্বেয় ও সামাজিক ভাবে গ্রহণ যোগ্য। তারা কোনো ভাবে এসবের সাথে জড়িত হতে পারে না। তারা বলেন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যা কাণ্ডের সুষ্ট তদন্ত চাই। মূল আসামীরা আটকের পরেও প্রশাসন কেন এই সম্মানিত মানুষদের আটকে রেখেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বক্তারা ।
তারা বলেন প্রশাসন যদি এক্ষেত্রে ব্যর্থ হয় তবে কঠোর আন্দোলনের মাদ্ধমে আমরা এই সকল নিরপরাধ মানুষকে ছাড়িয়ে আনবো।
শুক্রবার বাদ জুম্মাহ এই মানববন্ধনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে উপস্থিত এলাকাবাসী বলেন, মূল হত্যাকারীদের রেখে এলাকার সম্মানিত মানুষ জল্লারপাড় মসজিদ কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন খান শিপলু ও আনোয়ার বকস ভুলু মিয়াকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। এদের মুক্তি চাই।
ইতিমধ্যে অন্য মূল আসামী ধরা পড়েছে, তারপরও কেনো প্রশাসন এই সম্মানিত মানুষদের আটকে রেখেছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেন সবাই।
বক্তারা আরো বলেন, আরমানের পরিবার আগে এই এলাকার একটি কলোনিতে থাকতো। তাদের ব্যাপারে এলাকায় অনেক অভিযোগ রয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউিনিটি পুলিশিং সভায় তাদের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জনাব শিপলু কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্য। সে মসজিদের উন্নয়ন কমিটিরও একজন সদস্য। সে কিছুতেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত হতে পারে না। করোনা মহামারির সময় ছাড়াও ঈদের সময় আরমানের মাকেও সে চাল-ডাল দিয়ে সাহায্য করেছে। এত কিছুর পরেও আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না কেন শিপুলকে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে।